দুই বন্ধুর কথোপকথন
— কই যাস?
— দূর্গাপুজায়।
— মানে? তুই হিন্দু হলি কবে?
— বাহ্ রে! হিন্দু হবো কেন? আমাদের উচিৎ মনটা বড় করা। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমার ফ্রেন্ড যুথিষ্ঠির নেমন্তন্ন করেছে। কালকে আমি পুজার জন্য ক্লাসে চাঁদাও দিয়েছি।
— তুই কি বিশ্বাস করিস?
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
(বল, তিনি আল্লাহ, এক, অদ্বিতীয়)
وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ
(আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই) (আল-ইখলাস, ১১২/১, ৪)
— আশ্চর্য!! অবশ্যই করি..
— বলতো আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বড় গুনাহ কোনটা?
— ইয়ে... মানে... মানুষ খুন করা। না... না... ফিতনা ফাসাদ। কই যেন শুনেছিলাম হত্যার চেয়েও জঘন্য।
— আল্লাহ না করুন। ধর, তোর সামনে তোর সবচেয়ে প্রিয় মানুষটাকে খুন করা হচ্ছে। কেমন লাগবে?
— খুব খারাপ লাগবে। স্বাভাবিক। কিন্তু এর মানে কী বুঝাতে চাইছিস? বুঝলাম না। পূজায় কি মানুষ খুন করা হয় নাকি?
— পূজায় কী হয়? জানিস?
আল্লাহ যিনি একমাত্র ইবাদাতের মালিক তাঁর সাথে ইবাদতে কাউকে শরীক বানানো হয়। মানে আল্লাহকে অপমান করা হয়। সব গুনাহ সহ্য করলেও, শির্কের গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করেন না!
আল্লাহকে অপমান করা হচ্ছে, আর তুই সেটা দেখতে যাচ্ছিস?
দেখে আনন্দ পেতে যাচ্ছিস? আল্লাহকে অপমান করায় মুসলিম হিসেবে তোর হৃদয়টা ফেটে যাচ্ছে না.. এর মানে তুই, এক আল্লাহতে বিশ্বাস করার যে দাবি করিস। এটা ফেইক দাবি! ভন্ডামি ছাড়া আর কিছু নয়! শোন, মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন,
إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ
নিশ্চয় শির্ক হচ্ছে মহা জুলুম (গুনাহ)। (সূরাহ লুকমান, আয়াত : ১৩)
إِنَّ اللَّهَ لا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَى إِثْمًا عَظِيمًا
"নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করাকে ক্ষমা করবেন না, আর এ ছাড়া অন্যান্য পাপ যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক করল অবশ্যই সে মহাপাপ রচনা করল।" (সূরাহ আন-নিসা, আয়াত : ৪৮)
তুই একজন মুসলিম হয়ে পুজায় অংশ গ্রহন করছিস কি করে???
মহান আল্লাহ বলেন,
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ وَلَا أَنْتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَا عَبَدْتُمْ وَلَا أَنْتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ
তুমি বল, ‘হে কাফিররা, তোমরা যার ‘ইবাদাত কর আমি তার ‘ইবাদাত করি না’। এবং আমি যার ‘ইবাদাত করি তোমরা তার ‘ইবাদাতকারী নও’। ‘আর তোমরা যার ‘ইবাদত করছ আমি তার ‘ইবাদাতকারী হব না’। ‘আর আমি যার ‘ইবাদাত করি তোমরা তার ‘ইবাদাতকারী হবে না’। ‘তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম আর আমার জন্য আমার ধর্ম।’ (সুরাহ আল-কাফিরুন)
------------------------------------------------------------------
সমাপ্ত
আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক ইন শা আল্লাহ ’ লেখাটি শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে!
0 Comments